আগামী বছর দেওয়া হবে না নতুন শিক্ষাক্রমের বই
আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবই দেওয়ার কথা ছিল সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব শিক্ষার্থীদের। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা পিছিয়ে গেল। তবে এক বছর পিছিয়ে ২০২২ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২১ সালের মধ্যে প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু করার পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষাক্রম তৈরির কাজটি করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া এখন শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে পাণ্ডুলিপি তৈরি করে ছাপানোও কঠিন হবে। সার্বিক দিক বিবেচনায় তারা আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে বই না দেওয়ার প্রস্তাব করলে সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে আগামী বছরও বিদ্যমান শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই পাবে শিক্ষার্থী।
তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষক নির্দেশিকা দেওয়া হবে জানান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা। যাদের শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ২০২১ সাল থেকে প্রাথমিক স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির বই দেওয়ার কথা ছিল। এরপর ২০২২ সালে প্রাথমিকের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সপ্তম, নবম ও একাদশ শ্রেণির বই দেওয়ার কথা ছিল। আর ২০২৩ সালে পঞ্চম, অষ্টম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বই দেওয়ার কথা ছিল। এখন আর আগামী বছর নতুন শিক্ষাক্রমে বই দেওয়া হচ্ছে না।
প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তর (দশম শ্রেণি) পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে একই ধরনের বিষয় পড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বিষয়টি বাস্তবায়ন হলে এখনকার মতো নবম শ্রেণি থেকে একজন শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় শাখায় ভাগ করা হবে না। এই ভাগ হবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে গিয়ে। তবে এটি হলেও ২০২৪ সাল থেকে চালু হতে পারে।